
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
উখিয়ার চালের বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চালের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। এ মুহুর্তেই লাগাম টেনে ধরা না গেলে শুধু বাজার অস্থিরতার কারণে সরকারের সব অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে বলে সচেতন মহলের আশঙ্খা। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উখিয়ার বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মাছ, মাংস ও সবজির দাম। বর্তমানে গরু, মুরগির মাংস এবং মাছ কিনতে আগের চেয়ে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেশি দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। পাশাপাশি আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের পণ্য সামগ্রীর দাম আরও যেন বাড়াতে না পারে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। উখিয়ার চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা দেশে ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে মোটা চালের বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি গুদাম, মোকাম ও পাইকারি বাজারে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ রয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে মোটা চালের দাম কোনোভাবেই বাড়ার কথা নয়। হাতে গোনা কয়েকজন মিল মালিকের কারসাজিতে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। এমন অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। উখিয়ার চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মোটা চাল সর্বনিু ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে একই বাজারে একই মানের প্রতি কেজি চাল বিক্রি হয় ৪২ টাকায়। বাজারে মোটা চালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাটঁছে মিনিকেটও। গতকাল প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এর দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা ছিল।
উর্ধ্বমুখি দেশি মুরগি মাছ মাংস ও সবজিঃ এক সপ্তাহের ব্যবধানে উখিয়া উপজেলা বাজার গুলোতে বেড়েছে দেশি মুরগি, সব ধরনের মাছ, মাংস ও সবজির দাম। গতকাল সরেজমিন উখিয়া দারোগা বাজার ও কোটবাজার ঘুরে দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, প্রতি কেজি,কোরাল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, ইলিশ মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে মানভেদে ১০০০ টাকা, কাতল মাছ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৭০০ টাকা, কই মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু মাংস হাড়সহ ৪৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঢেড়ঁশ ৪০ টাকা, কাচঁকলা প্রতি হালি ৩২ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা, ক্রেতারা বলেন, সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, লাগামহীনভাবে পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।
পাঠকের মতামত